0 items

💸 0

0 items


Name Price Qt Total Action
    Total Price: 0

Check Out

Personal Information

আপনি কি আসন্ন অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হওয়ার এর জন্য প্রস্তুত? জানুন, ডলার কিভাবে এর আধিপত্য বিস্তার করল!



"সময় হচ্ছে টাকা" আমাদের সমাজে এটি একটি প্রচলিত কথা। মোটিভেশনাল স্পিকাররা সবসময় এটাই উদ্ধৃত দেওয়ার চেষ্টা করে আমাদের অনুপ্রেরণা দিতে টাকা উপার্জন করার। আর আপনি  এটিকে জীবনের মানদণ্ড ঠিক করে নেন, জীবনের  উদ্দেশ্য বানিয়ে নেন৷

আপনি কি কখনো নিজেকে প্রশ্ন করেছেন, আপনার জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান বিষয় কি? আপনার  জন্য আসলে কোন বিষয় অধিক গুরুত্বপূর্ণ? আপনার সময়, স্বাধীনতা নাকি কাগজের নোট?

ভাবছেন কাগজের নোট বলে, অর্থকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করলাম? হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন। যদিও সবাই এই কাগজের নোটগুলোর জন্যই জীবনের সময়, শ্রম, মেধা, লক্ষ্য কি উদ্দেশ্য ব্যয় করে থাকে৷ এবার আসি, কেন কাগজের নোটের কোন মূল্য নেই, কিভাবে নিছক কিছু কাগজ দিয়ে আপনার সময়, মেধা, শ্রমকে অপচয় ও অবমূল্যায়ন করা হচ্ছে! একটা উদাহরণ লক্ষ্য করেন৷

ধরুণ, আপনার একটা শার্ট আপনি বাহিরে কোন ধুপার কাছে নিয়ে গেলেন ধুতো করার জন্য। ওনি আপনার শার্টটি রেখে আপনার হাতে একটি কাগজের রিসিট দিলেন। পরবর্তিতে যখন আপনি শার্ট নিতে আসবেন এই রিসিট জমা দিয়ে ও টাকা দিয়ে শার্টটি নিবেন, তাইনা!

এখন প্রশ্ন হল, দোকাদার যে আপনাকে এই কাগজের রিসিটটি দিলেন, এর মূল্যই বা কতটুকু? বা এই রিসিটের মূল্যমানই বা কিসের উপর নির্ভর করে?

অবশ্যই এই শার্টের উপর, কল্পনা করেন তো, এই শার্ট ছাড়া এই রিসিটের কি আদৌ কোন মূল্য আছে। আপনি শার্টটি না দিয়েই শুধু কোন একটি রিসিট নিয়ে যদি শার্ট দাবি করেন, দোকানদার কি আপনাকে কোন শার্ট দিবে? অবশ্যই না, কখনো দিবে না। কেননা এই রিসিটের মূল্য ততক্ষণই থাকবে যতক্ষণ আপনার দেওয়া শার্টটি এ-ই দোকানদারের কাছে রয়েছে। এছাড়া এই কাগজের কোন মূল্য থাকবে না। কারণ এই রিসিটের নিজস্ব কোন মূল্যমান নেই, এর মূল্য তৈরি করে থাকে এই শার্টটি।

এখন আসেন, বর্তমান বিশ্বে ব্যবহৃত, আমেরিকার IMF and Federal Reserve কর্তৃক অর্থ ব্যবস্থার দিকে। দোকানদারের দেওয়া রিসিট বা ভাউচারের সাথে তুলনা করুন আপনার হাতে থাকা কাগজের টাকা, রুপি কিংবা ডলারের। 

আমরা টাকা হিসেবে যে কাগজগুলো ব্যবহার করছি এগুলো প্রকৃত অর্থে কারেন্সি, প্রকৃত মুদ্রা নয়। কারেন্সির উদাহরণ সেই রিসিট বা ভাউচারের মত যা দেওয়া হয় প্রকৃত মুদ্রা সংরক্ষণ রেখে এগুলোর  পরিবর্তে৷ যেখানে প্রকৃত মুদ্রা হল স্বর্ণ মুদ্রা বা দিনার, রৌপ্য মুদ্রা বা দিরহাম, বা কোন এমন মুদ্রা যার নিজস্ব অন্তর্নিহিত মূল্য রয়েছে৷ যার মূল্যমান নির্ভর করে শুধুই তার উপর, অন্য কোন কিছুর উপর না। আর কারেন্সি হল আপনার আমার হাতে থাকা কাগজের নোটগুলো। যার ব্যকেন্ডে রিজার্ভ হিসেবে স্বর্ণ বা রুপৌ থাকার কথা ছিল এখন নতুন মনেটরি সিস্টেম এ রিজার্ভ হিসেবে ডলার, মানে কারেন্সির জন্য কারেন্সি। এর উদাহরণ এমন যে, আপনি দোকানদারকে কাগজের রিসিট দিয়ে আপনার কাছে অন্য একটি রিসিট নিয়ে এর মূল্যমান দাবি করছেন। কারেন্সি ও অর্থের মধ্যে পার্থক্য জানার জন্য নিচের ভিডিওটি দেখতে পারেন,

অথচ যুগ যুগ ধরে মুদ্রা হিসেবে স্বর্ণ মুদ্রা ও রৌপ্য মুদ্রাই ব্যবহার হয়ে আসছিল কিন্তু পরর্বতিতে নিরাপত্তা জনিত কারণে মানুষ স্বর্ণ ও রুপা স্বর্ণকারের কাছে জমা রেখে তাদের থেকে একটা কাগজের স্টেটমেন্ট নিত, এবং তার মাধ্যমেই লেনদেন করত। তবে যেকোন সময়ই তারা ওই ডকুমেন্ট দিয়ে তাদের স্বর্ণ ফিরিয়ে আনতে পারত। 

পরর্বতিতে এই পদ্ধতিকে অনুসরণ করে আসল ব্যাংক সিস্টেম, ব্যাংকে প্রকৃত মুদ্রা সংরক্ষণ করা হত এবং এর বিনিময়ে কাগজের কারেন্সি দেওয়া হয়, এই ক্ষেত্রেও কাগজের কারেন্সি দিয়ে কেউ চাইলে তাদের আসল মুদ্রা ফিরিয়ে নিতে পারত৷ কিন্তু ১৯৭১ সালে এই পদ্ধতির অবসান করে ফেডারেল রিজার্ভ, রিচার্ড নিক্সন এর অনুমতি ক্রমে। অর্থনীতি বা অর্থব্যবস্থায় স্বর্ণ ও রুপার কোন স্থান থাকবে না বলে ঘোষণা দেয়, স্বর্ণ ও রুপৌ মুদ্রাকে  অবৈধ ঘোষণা করে।

আর কাগজের কারেন্সি যেমন টাকা, রুপি, ইত্যাদির রিজার্ভ হিসেবে কাজ ডলারকে মানদণ্ড বানায়। মানে কারেন্সির বদলে কারেন্সি, যেখানে কোন আসল মুদ্রা নেই। এই প্রক্রিয়া সম্ভব হয়েছিল পেট্রো-ডলারের কারণে। রিচার্ড নিক্সন, তৎকালিন সৌদি বাদশা ফয়সালের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়, শুধুমাত্র ডলারের মাধ্যমেই বিশ্বে পেট্রো তেলের বিনিময় হবে। মানে আপনি হাজার কোটি টাকা নিয়ে গেলেও এক লিটার পেট্রোল কিনতে পারবেন না, যদি না ডলারে কনভার্ট করেন।

এই কারেন্সি তৈরির ইতিহাসের সূচনা থেকে বর্তমান অবস্থার প্রক্রিয়াকে নিচে একটা ডায়াগ্রাম আকারে দেখালাম আপনাদের বুঝানোর সুবিধার্থে।

১. ১৮০০ শতাব্দীতে ব্যাংক নোট প্রথমে দেখা যায়, ১৮৭০-১৯১৭ পর্যন্ত Classical gold standard এর অনুসরণে কাগুজে মূদ্রা ব্যবস্থা ছিল। অর্থাৎ সেন্ট্রাল ব্যাংক প্রথমে গোল্ড জমা করে রাখবে আর যত টুকু গোল্ড তাদের কাছে আছে ততটুকু কাগুজে মুদ্রা ছাপাবে (১০০% রিজার্ভ অনুপাত)। অর্থাৎ কাগুজে টাকা হল একটা ‘চেক’ যা দিয়ে সব কিছু ক্রয় করা যাবে আর প্রয়োজনে ব্যাংকে জমা দিয়ে তার বিনিময়ে চেকে উল্লেখিত মূল্যের গোল্ড দাবী করা যাবে।

২. ১৯১৬-১৯৪৪ পর্যন্ত আগের ১০০% রিজার্ভ সিস্টেম বাতিল হয়ে গিয়ে নতুন ব্যবস্থা চালু হল Gold Exchange Standard অর্থাৎ কত টুকু কাগুজে মুদ্রার বিনিময়ে ব্যাংক থেকে কতটুকু গোল্ড দাবী করা যাবে, সেটা কেন্দ্রীয় ব্যাংক নির্ধারণ করে দিবে।

৩. ১৯৪৪ সালে একটি কনফারেন্স ডেকে সকলের সম্মতিতে ডলার এর উপর ভিত্তি করে ব্রেটন উডস (Bretton Woods) নামে একটি নতুন বিশ্ব মনেটারি/মুদ্রা সিস্টেম চালু হল। Gold Standard সিস্টেমে সকল দেশের সেন্ট্রাল ব্যাংক তাদের নিজস্ব কারেন্সি ছাপায় গোল্ড রিজার্ভ রেখে। যেমন- বাংলাদেশের টাকা/জাপানী ইয়েন/ডলার = গোল্ড (১ টাকার বিনিময়ের জন্য ব্যাংক তত পরিমাণ গোল্ড সংরক্ষণ করতো)।

৪. পরিশেষে ১৯৭১ সালে প্রেসিডেন্ট রিচারড নিকসন, ডলারের সাথে গোল্ড রূপান্তরকে বাতিল করল এবং প্রস্তাব করল যে International Monetary fund (IMF) এর সহযোগিতায় আমেরিকা প্রয়োজনীয় মাফিক ডলার ছাপাবে আর একটি নতুন মনেটারি সিস্টেম তৈরি করবে।

তখন আবার Bretton Woods Agreement বাতিল হয়ে আবারো নতুন মনেটারি সিস্টেম আসলো যার নাম Dollar Standard! স্বর্ণের দাম হবে অনির্দিষ্ট। মানে মার্কেট অটোমেটিকালী স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করবে। সরকারের কোন নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। ডলার হয়ে গেলো ভাসমান মুদ্রা, এর এখন থেকে গোল্ডের উপর কোন ডিপেন্ডেন্সি নাই। ডলার আজ থেকে স্বর্ণ হতে স্বাধীনতা পেল।

Bretton Woods Agreement সিস্টেমে, বাংলাদেশের টাকা/জাপানী ইয়েন= ডলার = গোল্ড

আর নতুন প্রণীত Dollar Standard এ (বাংলাদেশের টাকা/জাপানী ইয়েন) = ডলার

এভাবে Gold Standard Based অর্থনীতি থেকে আধুনিক অর্থব্যবস্থা হয়ে গেল Dollar Standard। আর স্বর্ণ ও রুপার স্থানে অর্থ হিসেবে জায়গা পেল কাগজের ডলার কারেন্সি, যেখানে আমেরিকা ছাপাতে পারে আনলিমিটেড ডলার, লাগামহীন ভাবে, আর তা ছড়িয়ে দেয় পুরো বিশ্বে, আর তাদের দেশে চলে আসে সকল প্রকার সম্পদ তেল, পণ্য কিংবা স্বর্ণের খনি।

ব্যাংকের প্রতারণা ও ফেডারেল রিজার্ভ কিভাবে শূন্য থেকে কারেন্সি সাপ্লাই করে তা নিচের ভিডিওর মাধ্যমে জানতে পারবেন...

এভাবেই চলছে ৫০ বছর ধরে অর্থনীতির জুলুম, মানুষের সময়, মেধা ও শ্রমের বিনিময়ে তুলে দেওয়া হচ্ছে কাগজের কিছু নোট যার কোন মূল্য আদৌ নেই। তবে প্রশ্ন করতে পারেন, তাহলে এখন তো আমরা এই কাগজগুলো ব্যবহার করতে পারছি, কাজে তো আসছে? তাই না!

হ্যাঁ, কাজে লাগবে যতদিন আপনার বিশ্বাস থাকবে যে, এটা কাজে আসছে, ব্যাংক, বিমার প্রতি মানুষের আস্থা থাকবে, আর মানুষ অশিক্ষিত থাকবে ততদিন পর্যন্ত চলবে৷ আর যখন কাগজ ছাপানোর মাত্রা বেশি হয়ে যাবে, তখন রোমান, জার্মান, জিম্বাবুয়ে ও ভেনিজুয়েলার মত আসবে অর্থনৈতিক বিপর্যয়৷

১৯২৩ সালে, জার্মানে এত পরিমাণ কাগজ ছাপানো হয়েছিল যে, একটি সংবাদ পত্রের মূল্য গিয়ে দাড়ায় ১ কোটি মার্ক। আবার জিম্বাবুয়েতে পণ্য কিনতে হয় বস্তা ভর্তি কাগজের কারেন্সি দিয়ে৷ সামনে ডলার, কিংবা টাকা, রুপি যেকোন কারেন্সির দশা এমনই হবে, কেননা পুজিপতিদের কাগজ ছাপানোর ক্ষেত্রে কোন সীমাবদ্ধতা নেই, যত খুশি ততই ছাপাতে পারে৷ এভাবে ইতিহাসের পূনরাবৃত্তি হয়, অন্যান্য সম্রাজ্যের পতনের কারণ এই অর্থের অনিয়ন্ত্রিত উৎপাদনের মতই এই সাম্রাজ্য, এতে থাকা প্রত্যেকে পরতে হবে আগত মহা বিপর্যয়ে৷

কিন্তু আশ্চর্যজনক ব্যাপার হলো, কাউকে এই নিয়ে বলতে দেখবেন না, প্রতিবাদ করতে দেখবেন না, কেননা এই সিস্টেমটা খুবই জটিল প্রক্রিয়ায় সাজানো, যেখানে সাধারণ মানুষ সহজে বুঝতে পারে না। সারাজীবন আসলকে নকল, আর নকলকে আসল ভেবে মরীচিকায় ঘুরপাক খাবে। অন্যদিকে আমাদের ইকোনমিস্টরা আপনারদের জানাবে না, হয়ত ভয়ে, অজ্ঞতায় কিংবা শোষণের সুযোগ কাজে লাগানোর জন্য। এভাবেই চলছে প্রতরণার অর্থনীতি, শুয়োরের বাচ্চার অর্থনীতি।

এখন আসি, আপনার,  আমার করণীয় কি, সেটা নিয়েঃ

১. সর্বপ্রথম আপনাকে জানতে হবে, চিন্তা করতে হবে, আগত চ্যালেঞ্জকে বুঝার জন্য ইতিহাস পর্যোলোচনা করতে হবে। আপনি ইতিহাসের যতদূর পর্যন্ত বিচরণ করতে পারবেন, ভবিষ্যৎ নিয়েও আপনার ধারণা তত স্বচ্ছ হয়ে যাবে। সুতরাং নিজেকে এডুকেটেড করেন,  জানার আগ্রহ, তৃষ্ণা তৈরি করেন। অর্থনীতি কি, কেন, কিভাবে, এবং অর্থ ব্যবস্থার ইতিবৃত্ত নিয়ে স্টাডি করেন। নিজের Financial Education নিশ্চিত করুন, কিভাবে অর্থ ব্যবহার করবেন, কোথায় বিনোয়োগ করবেন, কিভাবে করবেন সবকিছু জানার চেষ্টা করেন। যেসকল আপনার জন্য মূল্যবান তা সঞ্চয় করুন আর যা মূল্যহীন তাকে ব্যবহার করে মূল্য আনার চেষ্টা করুন৷  নিজেকে দক্ষ করে তুলেন, নিজের উপার্জন সক্ষমতা বৃদ্ধি করেন।

২. যেহেতু Dollar Standard পতন হবেই কারণ পৃথিবীতে কোন Fake Money টিকে থাকতে পারে না,  এটাও পারবে না, তাই বেশি বেশি আসল মুদ্রা জমা করায় ব্যস্ত থাকুন। মানে কাগজের কারেন্সি হাতে আসলেই নিজেকে প্রশ্ন করুন কোন মূল্যবান বস্তু দিয়ে এগুলো প্রতিস্থাপন করা যায়! বেশি বেশি Asset (যেগুলো আপনার পকেটে অর্থ দেয়) জমা করেন, Liability ( যেগুলো খরচ বৃদ্ধি করে যেমনঃ বিলাস বহুল যেকোন কিছু গাড়ি, মটর সাইকেল, শখের এমন কিছু যা খরচ করায়) কমান, ভূমি, ফার্মিং এর সুযোগ কাজে নাগান। স্বর্ণ, রুপা, ভূমি, এমন বাড়ি যা ভাড়া দেওয়ার কাজে লাগানো যায়, মানে টাকা আয় করায়, এগুলো নিজের আয়ত্বে আনার চেষ্টা করেন।

৩. নিজের একটা ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান তৈরি করেন, এমন প্রতিষ্ঠান যেটা চাহিদা সম্পূর্ণ পণ্যের যোগাণ দিবে, বা কোন জটিল সমস্যার সমাধান দিবে যা মানুষের, বাজারের প্রয়োজন। সাথে সাথে নিজেকে এমন সব দক্ষতা দিয়ে গড়ে তুলেন যা ডুপ্লিকেট করে আয় করা যায়৷

৪. নিজের সমন্ধে সচেতণ হন,  নিজের সময়, স্বাধীনতা, ইমোশণ, ভিশন, কাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে আপনারই নিয়ন্ত্রণ রাখার চেষ্টা করুন। অন্য কাউকে আপনার সময়, মেধা, শ্রম ব্যবহার করতে দিবেন না মানে ম্যানুপুলেট করতে দিবেন না নিজেকে৷ নিজেকে নিজেরই আয়ত্বে রাখেন।

৫. এডুকেট করেন, মানে আপনার পরিবার, বন্ধু, আত্মীয় স্বজনদের Financial Education এ উৎসাহি করেন, তাদেরকে দারিদ্র্যতার দৌড়াত্ম থেকে বাচানোর চেষ্টা করেন, ব্যাংক, বিমা থেকে নির্ভরশিলতা কমান, মানে টাকা জমানোর পরিবর্তে কিভাবে সম্পদ ব্যয় করা যায়, সে বিষয়ে সতর্ক হন, অন্যকে সতর্ক করেন।

উপসংহারঃ তার চেয়ে বুদ্ধিমান আর কে হতে পারে, যে বিপদ, চ্যালেঞ্জ, সমস্যা আসার আগেই সতর্ক থাকে, আগত চ্যালেঞ্জের মুখামুখি হওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকে, নিজেকে প্রস্তুত করে, নিজের পরিবার, সমাজ, বন্ধু, আত্নীয়দের সচেতণ করে৷ আর এই দায়িত্ব পালনের জন্য আপনাকে জানতে হবে, জ্ঞান অর্জন করতে হবে বেশি বেশি। মনে রাখবেন, আপনার সম্পদ আপনার হুমকির কারণ হতে পারে কিন্তু আপনার জ্ঞান আপনাকে বাচাবে হাজারো বিপদ থেকে, সমস্যা থেকে। তাই Financial Education এর মাধ্যমেই শুরু করেন আপনার  জ্ঞান অর্জনের যাত্রা৷ 

 

Share this!